শি’শুকে গলা কে’টে হ’ত্যা: ৭ দিনেও ঘা’তক অ’ধরা
বাংলাদেশ

কুমিল্লায় মেহেদি হাসান রিফাত নামে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রকে গলা কে’টে হ’ত্যার ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ঘা’তককে শনাক্ত করতে পারেনি পু’লিশ। গত শনিবার রাতে শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা ওই শি’শু ছাত্রকে তুলে নিয়ে গলাকে’টে হ’ত্যার পর লা’শ পুকুরে ফেলে দেয়।
মেহেদী হাসান রিফাত (৯) ওই এলাকার প্রবাসী আলমগীর হোসেনের ছেলে। সে নর্থ সাউথ চাইল্ড একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। এদিকে একমাত্র সন্তানের এমন হ’ত্যার খবর শুনে প্রবাস থেকে চলে আসেন পিতা আলমগীর হোসেন। ছেলের কবরের পাশে গিয়ে বারবার কা’ন্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন তিনি।
জানা গেছে, শনিবার রাতে শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় নিজ বাসার অদূরে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে নি’খোঁজ হন শি’শু স্কুলছাত্র মেহেদি হাসান রিফাত। সময় মতো বাসায় না ফেরায় স্বজনরা তাকে প্রাইভেট মাস্টারের বাড়িতে খুঁজতে যান। তাকে না পেয়ে স্বজনরা এদিকথসেদিক খুঁজতে থাকেন। পরে রাতেই এলাকার একটি পুকুর থেকে তার গলাকা’টা লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পু’লিশ হৃদয় নামে সন্দেহভাজন এক যুবককে গ্রে’ফতার করলেও জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে কোনো তথ্য উদঘাটন হয়নি। চাঞ্চল্যকর হ’ত্যাকা’ন্ড নিয়ে এলাকায় এবং গণমাধ্যমে ফলাও করে খবর প্রকাশিত হলেও পু’লিশ এ ঘটনায় জ’ড়িতদের এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।
এ দিকে পারিবারিক পূর্ব বিরোধ-দ্বন্দ্ব এবং পরিবারের সদস্যদের নানা বিরোধপূর্ণ বিষয়কে সামনে রেখে গুরুত্ব দিয়ে এ মা’মলার র’হস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা। বেশকিছু আলামত সংগ্রহে নিয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
তবে যে পুকুর থেকে রিফাতের লা’শ উ’দ্ধার করা হয়েছে সেই পুকুরের পানি সিচেও রিফাতের স্কুল ব্যাগ এবং হ’ত্যাকা’ন্ডে ব্যবহৃত ছু’রি কিংবা অন্যান্য দেশীয় অ’স্ত্র উ’দ্ধার করতে পারেনি পু’লিশ। হ’ত্যাকা’ন্ডে ব্যবহৃত অ’স্ত্র উ’দ্ধারসহ আরও কিছু আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করছে ত’দন্ত কর্মক’র্তা।
রিফাতের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, আমি একজন প্রবাসী এলাকার কোনো লোকের সঙ্গে আমি কখনও ঝগড়া-বিবাদে জড়াই না, কী’ কারণে আমা’র কলিজার টুকরা সন্তানকে ঘা’তকরা এমন নি’র্মমভাবে হ’ত্যা করল জানি না। আমি হ’ত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি চাই।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক জানান, রিফাত হ’ত্যার বিষয়টি অ’ত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আম’রা ত’দন্ত করছি এবং ঘটনার র’হস্য উদঘাটন ও ঘা’তক শনাক্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মাঝে বেশ কয়েক দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্বে কোনো বিরোধ আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছি। আশা করি শিগগিরই এর ক্লু উ’দ্ধার করতে আম’রা সক্ষম হব।