কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের আগে শেষ ইচ্ছা জিজ্ঞাসা করা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। সাধারণত একজন বন্দী তার মৃত্যুদণ্ডের আগে তার ভালোবাসার মানুষ কিংবা প্রিয় কোন খাবার খেতে চায়। যদিও পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু অপরাধী আছেন যারা মৃত্যুদণ্ডের আগে খুবই অদ্ভুত কিছু শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন! মৃত্যুদণ্ডের আগে করা বন্দীদের সবচেয়ে অদ্ভুত শেষ ইচ্ছেগুলো নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন।
জন ওয়েন গেসি: জন ওয়েন গেসি একজন অপরাধী হয়ে ওঠা এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে, কেএফসি-এর ম্যানেজার ছিলেন। যখন মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছার কথা জানতে চাওয়া হয়, তখন তিনি একটি সম্পুর্ণ চিকেন বাকেট, ভাজি, স্ট্রবেরী এবং ১২টি ভাজা চিংড়ি চেয়ছিলেন! তার এই ইচ্ছা পূরণ করা হয়।
রনি লি গার্ডনার: তিনি ‘লর্ড অফ দ্য রিংস” সিরিজের ফ্যান ছিলেন। তাকে যখন তার শেষ ইচ্ছার কথা বলতে বলা হয়, তখন তিনি ‘লর্ড অফ দ্য রিংস” সিরিজটি দেখতে চেয়েছিলেন এবং সাথে থাকবে আপেল পাই, গরুর মাংস, গলদা চিংড়ির লেজ এবং ভ্যানিলা আইসক্রিম! তার ইচ্ছা পূরণ করা হয়।
উইলিয়ান বনিন: ডায়াবেটিসের কারণে উইলিয়াম বনিন মারা যেতে চেয়েছিলেন, হত্যার অন্য কোন উপায় ছাড়া। তাই যখন তার শেষ ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কোকা-কোলা এবং পেপসির আঠারোটি বোতল এবং চকোলেট আইসক্রীমের তিনটি জার খুঁজেছিলেন। যাইহোক, উইলিয়াম প্রাণঘাতী ইনজেকশনের কারণে মারা যান, ডায়াবেটিস নয়!
ফিলিপ রে ওয়ার্কম্যান: ফিলিপের শেষ ইচ্ছা নিজের জন্য নয়, কিন্তু গৃহহীনদের জন্য ছিল। যখন তার শেষ ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়, তিনি গৃহহীন মানুষদের জন্য একটি বড় ভেজিটেবল পিজা চান। যদিও তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করা হয়নি।
জেমস এডওয়ার্ড স্মিথ: জেমস এডওয়ার্ড স্মিথের শেষ ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি এক দলা ময়লা চান। তিনি এটি চেয়েছিলেন যাতে একটি ভুডু অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারেন। যদিও তার এই ইচ্ছা পূরণ করা হয়নি।
জোনাথন নোবেলস: জোনাথন নোবেলস জেল খেটে সম্পূর্ণ বদলে যান এবং একজন উপাসক হয়ে ওঠেন। যখন তার শেষ ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় তিনি তার শেষ খাবারের জন্য ওয়াইন এবং রুটি চান।
মিশেল নেই: মিশেল নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীর একজন কমান্ডার ছিলেন। যখন তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে বলা হয়, তখন তিনি তার নিজের সৈন্যদের দ্বারা নিজেকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করা হয় এবং তার নেতৃত্বে তার সেনাবাহিনী তাকে হত্যা করে।
ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়: ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ১৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুন করেছিলেন। তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বাসুদেব মুখোপাধ্যায়ের পা ছুঁতে চেয়েছিলেন, যিনি ছিলেন জেলের ডাক্তার। তার এই ইচ্ছা পূরণ করা হয়।
ওডেল বার্ন্স: তিনি কিছু অপরাধ করেন এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর জেল খেটে ভালো হয়ে যান। যখন তাঁর শেষ ইচ্ছার জন্য তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ন্যায়বিচার, সমতা এবং বিশ্ব শান্তি চেয়েছিলেন।
ভিক্টর ফেগুয়ার: ভিক্টর ফেগুয়ারের শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর আগে একটি জলপাই খাওয়া! তিনি এটি চেয়েছিলেন যাতে তার মৃত্যুদণ্ডের পর এটি তার শরীরের অভ্যন্তরে বেড়ে উঠতে পারে!
সৌজন্যে- ফাপরবাজ