আর কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ, এই সময় মাংস বিলি করেও অনেক সময় মাংস থেকে যায়, তাই এই মাংস সংরক্ষণ করতে হয়। অনেকেই চিন্তায় থাকেন এই মাংস কত দিন পর্যন্ত সংরক্ষন করা যাবে তা নিয়ে। এই সব সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এসেছি।
পূর্ব প্রস্তুতি: কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজন কিছু পূর্ব প্রস্তুতির। আগেই ডিপ ফ্রিজের পুরানো খাবার সরিয়ে ফেলুন। ফ্রিজ একদম খালি করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলাই ভালো। আগে থেকে জমে থাকা রক্ত ও ময়লা থেকে জীবাণু মাংসের কোয়ালিটি নষ্ট করে দিতে পারে।
তাই ফ্রিজের পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরী। সেই সঙ্গে আগেই জমিয়ে রাখুন বড় বড় আকৃতির অনেকগুলো পলিথিন ব্যাগ। কারণ ঈদের দিন পলিব্যাগে করেই মাংসগুলো ফ্রিজে রাখতে হবে আপনার।
পরিচ্ছন্নতা: কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার আগেই প্রয়োজন পরিচ্ছন্নতার। খেয়াল রাখুন কসাইয়ের মাংস কাটার স্থানটি যেন পরিচ্ছন্ন হয়। ধূলাবালিযুক্ত স্থানে মাংস কাটলে রান্নার সময়ে খাবার বালি বালি লাগতে পারে। মাংস কাটা হয়ে গেলে সেগুলোর রক্ত পরিষ্কার করে পানি ভালো করে ঝরিয়ে নিন। এরপর প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন অথবা রান্না করুন।
সংরক্ষণ পদ্ধতি: গরুর মাংস সংরক্ষণ করার আছে নানান পদ্ধতি। প্রচলিত পদ্ধতিগুলো হলো-
১. একসঙ্গে অনেক মাংস রান্নার পরে প্রতিদিন জ্বাল দিয়ে রাখা।
২. কাঁচা মাংস প্যাকেট করে ফ্রিজে ভরে রাখা।
৩. কড়া রোদে মাংস শুকিয়ে আর্দ্রতা কমিয়ে ফেলা। এটাকে মাংসের শুঁটকি বলা হয়ে থাকে আমাদের দেশে।
৪. মাংসে লবণ, ভিনেগার, মসলা মাখিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখলে ভালো থাকে।
মাংস ফ্রিজে কতদিন রাখবেন: মাংসে সাধারণত জীবাণু দ্রুত বিস্তার লাভ করে। তাই মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১. মাংস রান্না করে রাখলে প্রতিদিনই জ্বাল দিতে হবে। এক্ষেত্রে গরম কালে মাংস ১২ ঘন্টা পর একবার এবং শীত কালে ২৪ ঘন্টা পর একবার জ্বাল দিলেই মাংস ভালো থাকবে।
২. ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার নিচে কাঁচা মাংস ৪ থেকে ৬ দিন রাখা যায়।
৩. জিরো ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার নিচে রাখলে গরুর কাঁচা মাংস ১২ মাস ভালো থাকবে।
৪. মাংস ফ্রিজে রাখার আগে প্যাকেটের গায়ে তারিখ লিখে রাখুন। এতে মাংসগুলো কতদিন সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটা সহজেই বোঝা যাবে।
সৌজন্যেঃ ফুডসেফটি