এজবাস্টন থেকে লর্ডস। প্রথম টেস্ট থেকে দ্বিতীয় টেস্ট। ভেন্যু কিংবা ম্যাচ বদল হলেও ভাগ্য বদলায়নি ভারতের। প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে দুইবার ব্যাটিং করাতে পাঠাতে পেরেছিল ভারতের বোলাররা। দ্বিতীয় টেস্টে তারা সেটাও পারেনি।
ইংল্যান্ডের এক ইনিংসে করা ৩৯৬ (ডিক্লে.) রান ভারত দুই ইনিংস ব্যাট করেও তুলতে পারেনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে (১০৭ ও ১৩০) ভারত করেছে মাত্র ২৩৭ রান। তাতে ইনিংস ও ১৫৯ রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ইংলিশরা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ১০৭ রানের জবাবে ক্রিস ওকসের অপরাজিত ১৩৭ ও জনি বেয়ারস্টোর ৯৩ রানে ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ড ৩৯৬ রান তুলে ইনিংস ছেড়ে দেয়। এরপর ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। কিন্তু এবারও ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি কোহলি-পূজারারা। ৪৭ ওভারে মাত্র ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট না করতে নেমেই ইংলিশরা ১৫৯ রানে জয় পায়।
ব্যাট হাতে ভারতের রবীচন্দ্রন অশ্বিন সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৩ রান করেন। ২৬ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৭টি করে রান করেন চেতেশ্বর পূজারা ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
বল হাতে ভারতের ইনিংসে ধ্বস নামান ইংল্যান্ডের তিন পেসার জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ড ব্রড ও ক্রিস ওকস। তারা তিনজন ভারতের ১০টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। অ্যান্ডারসন ১২ ওভার বল করে ৫ মেডেনসহ ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ব্রড ১৬ ওভার বল করে ৬ মেডেনসহ ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ১০ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ ২৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন ওকস। ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৩৭ ও বল হাতে দুই ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ক্রিস ওকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১০৭/১০ ও ১৩০/১০
ইংল্যান্ড: ৩৯৬/৭ ডিক্লে.
ফল: ইংল্যান্ড ১৫৯ রানে জয়ী।